Explanation of Purulia District in Bengali
পুরুলিয়া জেলা (Purulia District)
পশ্চিমবঙ্গের জেলা গুলির মধ্যে একটি অন্যতম উল্লেখযােগ্য জেলা হল পুরুলিয়া জেলা, যা ছৌ নাচের জন্য বিখ্যাত একটি জেলা।
মানচিত্র


প্রতিষ্ঠিত
পুরুলিয়া জেলাটি স্থাপিত হয় ১লা নভেম্বর, ১৯৫৬ সালে।
আয়তন
পুরুলিয়া জেলার মোট আয়তন ৬,২৫৯ বর্গ কিলােমিটার।
জনসংখ্যা
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, পুরুলিয়া জেলার মোট জনসংখ্যা ২,৯৩০,১১৫ জন।
- পুরুষ জনসংখ্যা – ১,৪৯৬,৯৯৬ জন (৫১.০৯%)
- মহিলা জনসংখ্যা – ১,৪৩৩,১১৯ জন (৪৮.৯১%)
- গ্রামীন অধিবাসিগণ – ২,৫৫৬,৮০১ জন (৮৭.২৬%)
- শহরের জনসংখ্যা – ৩৭৩,৩১৪ জন (১২.৭৪%)
- তফসিলি জাতি – ৫৬৭,৭৬৭ জন (১৯.৩৮%)
- তফসিলি আদিবাসী – ৫৪০,৬৫২ জন (১৮.৪৫%)
- স্বাক্ষরতা – ১,৬২৪,৯০৫ জন (৬৪.৪৮%)
- লিঙ্গ অনুপাত – ৯৫৭ জন মহিলা/১০০০ জন পুরুষ
- জনসংখ্যা ঘনত্ব – ৪৬৮ জন/বর্গ কিলোমিটার
সীমানা
ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে পুরুলিয়া জেলার উত্তর সীমান্তে রয়েছে ঝাড়খন্ড রাজ্যের ধানবাদ জেলা, দক্ষিণ সীমান্তে রয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলা, পূর্বে রয়েছে বাঁকুড়া জেলা এবং পশ্চিমে রয়েছে ঝাড়খন্ডের হাজারিবাগ জেলা।
নামকরণ ও ইতিহাস
ইতিহাস অনুযায়ী প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে ১৮০৫ সালে মানভূম সহ ২৩টি পরগনা ও মহল নিয়ে গঠিত হয় জঙ্গলমহল জেলা। কিন্ত রাজনৈতিক অস্থিরতায় অতিষ্ঠ হয়ে ইংরেজ কর্তৃপক্ষ ১৮৩৩ সালে এই জেলা ভেঙে মানভূম জেলা গঠন করেন। মানভূম জেলার সদর হয় মানবাজার। এই সময়েই পুরুলিয়া গ্রামটি ধীরে ধীরে শহরে পরিণত হতে থাকে এবং ১৮৩৮ সালে এই শহরে মানভূম জেলার সদর দপ্তর স্থানান্তরিত হয়।
এরপর ১৯১১ সালে মানভূম বাংলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিহার প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত হয়। সেই সময় ১৯১২ সালে মানভূমে শুরু হয় বাংলা ভাষা আন্দোলন। কেননা সেই সময় রাজনৈতিকভাবে বিহারের স্কুল-কলেজ-সরকারি দপ্তরে হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ফলে সেই সময়ের মানভূমের বাংলাভাষী জনগণ হিন্দি ভাষার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন, যা ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৬ সালের মধ্যে তীব্রভাবে ছড়িয়ে পড়ে মানভূমের বাঙালিদের মধ্যে। মানভূমের এই ভাষা আন্দোলন পৃথিবীতে ঘটা দীর্ঘতম ভাষা আন্দোলন। এরফলে ১৯৫৬ সালে ভারত সরকার মানভূম জেলা ভেঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সঙ্গে একটি নতুন জেলা সংযুক্ত করতে বাধ্য হন। ফলস্বরূপ, ১৯৫৬ সালের ১লা নভেম্বর সম্পূর্ণ নতুন জেলা হিসাবে পুরুলিয়া জেলার আত্মপ্রকাশ ঘটে।
প্রশাসনিক বিভাগ
জেলা সদর : পুরুলিয়া জেলার জেলা সদর হল পুরুলিয়া শহর।
মহকুমা : পুরুলিয়া জেলার মহকুমা ৪টি, এগুলি হল –
- পুরুলিয়া সদর মহকুমা,
- মানবাজার মহকুমা,
- ঝালদা মহকুমা ও
- রঘুনাথপুর মহকুমা।
পৌরসভা : পুরুলিয়া জেলার পৌরসভা ৩টি, এগুলি হল –
- পুরুলিয়া পৌরসভা,
- ঝালদা পৌরসভা ও
- রঘুনাথপুর পৌরসভা।
ব্লক : পুরুলিয়া জেলার ব্লক সংখ্যা হল ২০টি, এগুলি হল –
- আরশা,
- বলরামপুর,
- হুরা,
- পুরুলিয়া-১,
- পুরুলিয়া-২,
- বড়বাজার,
- বুন্দওয়ান,
- মানবাজার-১,
- মানবাজার-২,
- পুঞ্চা,
- বাগমুন্ডি,
- ঝালদা-১,
- ঝালদা-২,
- জয়পুর,
- কাশিপুর,
- নেটুরিয়া,
- প্যারা,
- রঘুনাথপুর-১,
- রঘুনাথপুর-২ ও
- সাঁতুরি।
থানা : পুরুলিয়া জেলায় ২১টি থানা রয়েছে।
পঞ্চায়েত সমিতি : পুরুলিয়া জেলায় রয়েছে ২০টি পঞ্চায়েত সমিতি।
গ্রাম পঞ্চায়েত : পুরুলিয়া জেলায় ১৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে।
সেন্সাস টাউন : পুরুলিয়া জেলায় রয়েছে ৯টি সেন্সাস টাউন।
গ্রাম : পুরুলিয়া জেলায় রয়েছে ২৪৫৯টি গ্রাম।
জেলা পরিষদ : পুরুলিয়া জেলার জেলা পরিষদের সংখ্যা ১টি।
লােকসভা কেন্দ্র : পুরুলিয়া জেলায় লােকসভা কেন্দ্র রয়েছে ৩টি, এগুলি হল –
- পুরুলিয়া লােকসভা কেন্দ্র,
- বাঁকুড়া লােকসভা কেন্দ্র ও
- ঝাড়গ্রাম লােকসভা কেন্দ্র – যা বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার সঙ্গেও জড়িত।
বিধানসভা কেন্দ্র : পুরুলিয়া জেলায় বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে ৯টি, এগুলি হল –
- বান্দোয়ান বিধানসভা কেন্দ্র,
- বলরামপুর বিধানসভা কেন্দ্র,
- বাঘমুন্ডি বিধানসভা কেন্দ্র,
- জয়পুর বিধানসভা কেন্দ্র,
- পুরুলিয়া বিধানসভা কেন্দ্র,
- মানবাজার বিধানসভা কেন্দ্র,
- কাশীপুর বিধানসভা কেন্দ্র,
- পাড়া বিধানসভা কেন্দ্র ও
- রঘুনাথপুর বিধানসভা কেন্দ্র।
দাপ্তরিক ওয়েবসাইট : https://purulia.gov.in/
ভূ-প্রকৃতি
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মেদিনীপুর বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা এই পুরুলিয়া জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্যও অপরূপ। গঠনগতভাবে দামােদর অববাহিকা ও ছােটনাগপুর মালভূমির সীমানায় অবস্থিত এই পুরুলিয়া জেলা রাঁচী সমভূমির অন্তর্গত। এই জেলার ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হল বন্ধুর ভূমিভাগ, খাড়া পাহাড়চূড়া ও নীচু উপত্যকা। এই জেলার অধিকাংশ অঞ্চলই সমভূমি। অযােধ্যা পাহাড়, বেলামু পাহাড়, দলমা পাহাড় ও পাঞ্চেত পাহাড় পুরুলিয়া জেলার উল্লেখযােগ্য পাহাড়। অযােধ্যা পাহাড়ের গোর্গাবুরু এই জেলার এবং পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে পুরুলিয়া জেলাকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে, যথা – পশ্চিম ও দক্ষিণের বন্ধুর পাহাড়ি অঞ্চল, ল্যাটেরাইট উচ্চভূমি ও বিচ্ছিন্ন শিলাস্তুপ এবং পাললিক সমভূমি।
নদ-নদী
পুরুলিয়া জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত উল্লেখযােগ্য নদনদীগুলি হল কংসাবতী নদী, দামােদর নদ, সুবর্ণরেখা নদী, কুমারী নদী, দ্বারকেশ্বর নদ ইত্যাদি। কংসাবতী বা কাঁসাই হল পুরুলিয়া জেলার প্রধান নদী। মালভূমিতে উৎপন্ন বলে শীত ও গ্রীষ্মকালে এই জেলার নদনদীগুলিতে জল খুবই কম থাকে। কিন্তু বর্ষাকালে নদীর জল অনেকটাই বৃদ্ধি পায়, এমনকি মাঝে মাঝে নদীর দুই কূল ছাপিয়ে বন্যাও দেখা দেয়।
জলবায়ু
পুরুলিয়া জেলার জলবায়ু চরমভাবাপন্ন। এই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। এই জেলার বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমান ১,১০০ থেকে ১,৫০০ মিমি।
বনাঞ্চল
স্যাটেলাইট ইমেজরি ডেটা অনুসারে সামাজিক বনায়ন এবং অবক্ষয়িত বন সহ পুরুলিয়া জেলার মোট বনভূমি হল ১৮৫,৭২৬ হেক্টর, যা জেলার মোট জমির ২৯.৬৯%। বনগুলি বেশিরভাগই মিশ্র প্রকৃতির এবং বনাঞ্চলগুলি প্রধানত জেলার উত্তর-পশ্চিম অংশে সীমাবদ্ধ অযোধ্যা পাহাড় এবং উত্তর-পূর্বের পাঞ্চেত পাহাড়ে অবস্থিত। যেসব গাছপালা এখানে বেশি চোখে পড়ে সেগুলি হল শাল, আসান, কুসুম, বহেরা, আমলকি, মহুয়া, পলাশ, জাম, শিমূল, শিরিষ, অর্জুন, হরিতকি, নিম, বাঁশ ইত্যাদি।
অর্থনীতি
পুরুলিয়া জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। এছাড়াও, এই জেলার প্রাকৃতিক সম্পদ এবং বিভিন্ন শিল্প এই জেলার অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
কৃষিকাজ
পুরুলিয়া জেলার অনুকূল পরিবেশে কৃষিকাজও অনেক ভালাে হয়। এই জেলার চাষাবাদ প্রধানত এক ফসলি। মোট চাষকৃত জমির প্রায় ৬০% উচ্চভূমি। মোট কৃষি ধারণের মধ্যে প্রায় ৭৩% ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের অন্তর্গত যাদের বিক্ষিপ্ত এবং খণ্ডিত ক্ষুদ্র ভূমি রয়েছে। ধান এই জেলার প্রাথমিক ফসল। এছাড়াও, পুরুলিয়া জেলার অনুকূল পরিবেশে গম, ভুট্টা, আলু থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের শাকসবজি, ফলমূল ও তৈলবীজ উৎপাদিত হয়।
খনিজ সম্পদ
পুরুলিয়া পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম খনিজ সমৃদ্ধ জেলা। এই জেলায় প্রাপ্ত খনিজপদার্থগুলির মধ্যে কয়লা, ফসফেট, চিনামাটি, ডলােমাইট, কায়ানাইট, গ্রাফাইট ইত্যাদি উল্লেখযােগ্য।
শিল্প
পুরুলিয়া জেলায় কোনো বৃহৎ শিল্পক্ষেত্র নেই। তবে এই জেলায় রয়েছে বিভিন্ন কুঠির শিল্প, হস্ত শিল্প, কারু শিল্প ইত্যাদি।
ভাষা
পুরুলিয়া জেলায় বসবাসকারী বেশিরভাগ মানুষদের প্রধান ভাষা হল বাংলা, তবে এই জেলায় সাঁওতালি, কুরমালী, হিন্দি প্রভৃতি আরাে অন্যান্য ভাষাও প্রচলিত।
ধৰ্ম
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, পুরুলিয়া জেলার মোট জনসংখ্যার ৮০.৯৯% মানুষ হিন্দু ধৰ্ম, ১০.৫৫% মানুষ উপজাতীয় ধর্ম, ৭.৭৬% মানুষ ইসলাম ধৰ্ম এবং বাকি মানুষেরা অন্যান্য ধৰ্ম পালন করেন।
শিক্ষা
পুরুলিয়া জেলার মােট সাক্ষরতার হার ৬৫.৩৮ শতাংশ। এই জেলার উল্লখযােগ্য কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হল –
- সিধাে-কানহাে-বীরসা ইউনিভার্সিটি,
- জগন্নাথ কিশাের কলেজ,
- নিস্তারিনি কলেজ,
- রঘুনাথপুর কলেজ,
- রামানন্দ সেন্টেনারি কলেজ,
- মহাত্মা গান্ধী কলেজ,
- বলরামপুর কলেজ,
- মানভূম মহাবিদ্যালয়,
- পুরুলিয়া পলিটেকনিক,
- পুরুলিয়া হােমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ইত্যাদি।
সংস্কৃতি
পুরুলিয়া জেলায় রয়েছে একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এই সংস্কৃতি মূলত বাংলা, ঝাড়খন্ড এবং ওড়িশার মিশ্র সংস্কৃতি, কারণ এই জেলাটি বিভিন্ন সময়ের জন্য এই অঞ্চলগুলির সাথে যুক্ত ছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে শুরু করে স্থানীয় উৎসব পর্যন্ত, প্রতিটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একটি আদিবাসী ছোঁয়া রয়েছে, যা পুরুলিয়ার বিশেষত্ব। বেশিরভাগই গ্রামীণ এলাকায় বসবাস করে এবং তাদের অনেক সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে অক্ষুণ্ণ রাখে।
পুরুলিয়া জেলাটিতে ঝুমাইর, অহিরগীত, ভাদু , বিহারগীত, বাউল, করমগীত এবং টুসুগীত সহ বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী গান রয়েছে। পুরুলিয়া বাংলা ছৌ-এর মার্শাল নৃত্যেরও জন্মস্থান।
পরিবহন ব্যবস্থা
পুরুলিয়া জেলায় পরিবহন ব্যবস্থা হিসাবে উন্নত সড়কপথ তাে রয়েছেই, সঙ্গে রেলপথও রয়েছে। এই জেলার কয়েকটি উল্লেখযােগ্য রেলওয়ে স্টেশন হল – আব্রা জংশন রেলওয়ে স্টেশন, পুরুলিয়া জংশন রেলওয়ে স্টেশন, ঝালিদা রেলওয়ে স্টেশন, জয়চন্ডী পাহাড় রেলওয়ে স্টেশন ইত্যাদি।
বিশিষ্ট ব্যক্তি
পুরুলিয়া জেলার কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি হলেন –
- অতুল চন্দ্র ঘােষ : একজন ভারতীয় মুক্তিযােদ্ধা।
- লাবণ্য প্রভা ঘােষ : মানভূমের জননী হিসাবে পরিচিত একজন ভারতীয় মুক্তিযােদ্ধা।
- গম্ভীর সিং মুড়া : পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত ছৌ নৃত্যের শীর্ষ শ্রেণির প্রকাশক।
- মিহির সেন : ১৯৫৮ সালে ডােভার থেকে ক্যালাইস পর্যন্ত ইংলিশ চ্যানেলে সাঁতার কাটা প্রথম ভারতীয়।
- সারদা প্রসাদ কি : সাঁওতাল ভাষার একজন জনপ্রিয় কবি।
- সিন্ধুবালা দেবী : পুরুলিয়া জেলার ঝুমুর গানের শীর্ষস্থানীয় শিল্পী। – প্রমুখ।
দর্শনীয় স্থান
পুরুলিয়া জেলার উল্লেখযােগ্য দর্শনীয় স্থানগুলি হল –
অযােধ্যা পাহাড়
পুরুলিয়া থেকে সিরাবাদ হয়ে ৪২ কিলােমিটার দুরে অবস্থিত এই অযােধ্যা পাহাড় একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র।
গড় পঞ্চকোট
একটি বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্থান গড় পঞ্চকোট পুরুলিয়া শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে নেতুরিয়া ব্লকের মধ্যে অবস্থিত। এখানে ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে পঞ্চকোটের রাজাদের দ্বারা নির্মিত কয়েকটি দুর্গের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। গড়পঞ্চকোট ভারতের পূর্বাঞ্চলে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার পঞ্চকোটের পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত, পঞ্চকোট প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ একটি নীরব সাক্ষ্য। প্রকৃতির আশ্চর্য সৌন্দর্যের পাশাপাশি গড়পঞ্চকোট একটি সমৃদ্ধ প্রাচীন ঐতিহাসিক ঐতিহ্যেরও প্রমাণ।

রাকব ফরেস্ট
পুরুলিয়া শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলােমিটার দূরে অবস্থিত কেশরগড়ের বিখ্যাত বন এই রাকব বন, যা ১৬ ক্রসের বন হিসাবে পরিচিত ছিল।

জয়চন্ডী পাহাড়
পুরুলিয়া শহর থেকে প্রায় ৪৪ কিলোমিটার দূরে পৌর শহর রঘুনাথপুরের খুব কাছে জয়চন্ডী পাহাড় অবস্থিত। এটি একটি খুব জনপ্রিয় ট্রেকিং স্পট এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ পিকনিক স্পটও বটে।

এছাড়াও –
- পাঞ্চেৎ পাহাড় ও বাঁধ,
- টুরগা জলপ্রপাত,
- মুরাদি বাঁধ ও বড়ন্তি,
- দেউলঘাট গ্রামের মন্দির,
- সাহেব বাঁধ,
- নেতাজি সুভাষ উদ্যান ইত্যাদি।
ভিডিও ↴
পুরুলিয়া জেলার সংক্ষিপ্ত পরিচয় | Explanation of Purulia District in Bengali –
আরো ভিডিও দেখুন
(Explanation of Purulia District in Bengali)